লকডাউন অমান্য করে রাস্তায় ভিড়, সরাতে গিয়ে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় আক্রান্ত পুলিশ
লকডাউনে রাস্তায় ব্যাপক ভিড়। সেই ভিড় সরাতে গিয়ে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় আক্রান্ত পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোঁড়ে উন্মত্ত জনতা। ২টি গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পৌঁছয় হাওড়া সিটি পুলিশের ২টি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার টিকিয়াপাড়ার বেলিলিয়াস রোডে দুপুরে পুলিশের টহলদারি হয়। তখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বিকেলের দিকে আচমকা প্রচুর মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। লকডাউন না মেনে রাস্তায় ভিড়। লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ ভিড় সরাতে গেলে আক্রান্ত হয়। পুলিশের ২টি গাড়ি ভাঙচুর করা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও বোতল ছোঁড়া হয়। দুজন পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ ও র্যাফ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। হাওড়া থানার অন্তর্গত টিকিয়াপাড়া বেলিলিয়াস রোড ইতিমধ্যেই হটস্পট জোন। সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। জমায়েত করতে দেওয়া হচ্ছে না। মঙ্গলবার ফল কেনার জন্য বিকেলে ভিড় জমায় এলাকার মানুষ। বাধা দিলে বচসা শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে। তারপরই পুলিশের উপর চড়াও হয় উন্মত্ত জনতা।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এর তীব্র নিন্দা করছি। যাঁরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে রাস্তায় নেমে কাজ করছেন তাঁদের উপর এমন বর্বরোচিত আক্রমণ মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশকে বলব, দোষীদের চিহ্নিত করে যেন গ্রেপ্তার করা হয় এবং কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’ এদিকে, বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে পালটা প্রশাসনের গাফিলতিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘প্রথম থেকেই যদি কড়া হাতে লকডাউন কার্যকর করা হত তাহলে এমন দৃশ্য দেখতে হত না। কনেটনমেন্ট জোন ঘোষিত এমন বহু জায়গায় লকডাউন অমান্য করা হচ্ছে। পুলিশের সামনেই রাস্তায় জমায়েত হচ্ছে। পুলিশ দেখেও কিছু করছে না।’
এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়
Post a Comment
0Comments