সকাল থেকেই রোদ-মেঘের লুকোচুরি, মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা
দিনভর কখনও মেঘলা আকাশ তো কখনও রোদ। আর বিকেলের দিকে কালো মেঘে ঢাকছে আকাশ। কোথাও কোথাও বইছে ঝোড়ো হাওয়া। সঙ্গে কোথাও হালকা তো কোথাও মাঝারি বৃষ্টি। দিনকয়েক এমনই আবহাওয়ার সাক্ষী আমজনতা। আগামী ৪৮ ঘণ্টা সেই একই আবহাওয়া বজায় থাকবে বলেই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। রবিবারও বিকেলের পর থেকে রাজ্যের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে দু-একটি দেলায় কালবৈশাখীও হতে পারে। শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও এড়ানো যাচ্ছে না।
একটি ঘূর্ণিঝড়ও ধেয়ে আসছে বলেই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ৩০ এপ্রিল দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে নিম্নচাপ। নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। প্রথমদিকে উত্তর পশ্চিম এবং পরে উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে ৪ মে দক্ষিণ পূর্ব মায়ানমার উপকূল অথবা বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। এছাড়াও ছত্তিশগড় এবং মেঘালয়েও দু’টি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। ছত্তিশগড় থেকে একটি অক্ষরেখা মেঘালয় পর্যন্ত বিস্তৃত। অক্ষরেখাটি গাঙ্গেয় ওড়িশা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে বিস্তৃত। এর জেরেই সাগর থেকে ঢুকছে জলীয় বাষ্প।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যের একাধিক জেলা যেমন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের দু-একটি জেলায় কালবৈশাখীও হতে পারে। শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও এড়ানো যাচ্ছে না। ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্র উত্তাল হওয়ার কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টা মৎস্যজীবীদের উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এদিকে, রবিবার সকাল থেকে কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ। ঝড়বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রর পারদও খানিকটা নিম্নমুখী। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫৫ থেকে ৯৫ শতাংশ। বিকেলের দিকে ঝড়বৃষ্টি হলে তাপমাত্রার পারদ আরেকটি নামবে বলেই আশা করা যায়। সেক্ষেত্রে লকডাউনে বাড়ি বসে হাঁসফাঁসের পরিবর্তে তীব্র গরম থেকে খানিকটা মুক্তি মিলবে আমজনতার।
এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়
Post a Comment
0Comments