‘লকডাউনে দোকান খোলা কেন’, জানতে চাওয়ায় ‘গণপিটুনি’তে মৃত্যু পুলিশকর্মীর | এখন বাংলা - Ekhon Bengla

Bharati Mandal
By -
0


‘লকডাউনে দোকান খোলা কেন’, জানতে চাওয়ায় ‘গণপিটুনি’তে মৃত্যু পুলিশকর্মীর



‘লকডাউনে দোকান খোলা কেন’, জানতে চাওয়ায় ‘গণপিটুনি’তে মৃত্যু পুলিশকর্মীর | এখন বাংলা - Ekhon Bengla




নিউজ ডেস্ক: মহামারি রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন কেন্দ্র সরকার। খাদ্যদ্রব্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া বাকি সমস্ত কিছু বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! দেশের বেশকিছু এলাকায় এখনও খোলা দোকানপাট, বাজার। নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন আমজনতা। তাঁদের লকডাউনের অর্থ বোঝাতে গিয়ে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল এক পুলিশ কর্মী। শনিবার এহেন নৃশংস ঘটনার সাক্ষী রইল অসমের শিলচর সংলগ্ন কাছার জেলা। যদিও পুলিশের একাংশের দাবি, গণপিটুনিতে নয়, বরং এক দোকান মালিকের সঙ্গে বচসার পর রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল ওই পুলিশকর্মীর। আর তাতেই তাঁর মৃ্ত্যু হয়। শিলচরের সরকারি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।




শুক্রবার থেকে অসমের সমস্ত দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। ছাড় পেয়েছে খাদ্যদ্রব্য ও ওষুধের দোকান। কিন্তু নিয়ম ভেঙে কাছার জেলার সোনাবারিঘাট বাজার খোলা ছিল বলে অভিযোগ। চলছিল দেদার কেনাকাটা। অসম ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের কনস্টেবল বক্তরুদ্দিন ভুঁইঞা সেই বাজারের দোকানিদের বোঝাতে গিয়েছিলেন। আর তখন দোকানমালিকদের সঙ্গে তাঁর বচসা বেঁধে যায়। তারপরই তাঁকে বেধড়র মারধর করা হয়। মৃত পুলিশকর্মীর স্ত্রীর অভিযোগ, বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে তাঁকে মেরে ফেলা হয়।




পুলিশের একাংশ ভিন্নমত পোষণ করছেন। কাছার জেলার এসপি মাধবেন্দ্র রাওয়ের দাবি, ওই বাজারের এক পানের দোকানের মালিকের সঙ্গে বক্তরুদ্দিনের বচসা বাধে। এদিকে ওই পুলিশ উচ্চ রক্তচাপডজনিত অসুখে ভুগছিলেন। বচসার জেরে রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের আরও দাবি, ওই পুলিশ কর্মীর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। কিন্তু সে কথা মানতে নারাজ মৃতের স্ত্রী। এই ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।




‘লকডাউনে দোকান খোলা কেন’, জানতে চাওয়ায় ‘গণপিটুনি’তে মৃত্যু পুলিশকর্মীর | এখন বাংলা - Ekhon Bengla






এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়


Tags:

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn more
Ok, Go it!