লক্ষ্মীবারের সকালে আশ্চর্য ঘটনা, প্রত্যেক বাড়ির সামনে মিলছে ৫০০ টাকার নোট
তমলুকঃ রাজ্য তথা গোটা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। ঘরবন্দী সকলে। কল কারখানা থেকে দোকানপাট সমস্ত কিছু বন্ধ থাকার ফলে রোজগার পাতি তেমন কিছু হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গেল নগদ ৫০০ টাকার নোট। সঙ্গে একটি সাবানও। লকডাউনের বাজারে প্রথমে এভাবে হাতে নগদ ৫০০ টাকার নোট পেয়ে আশ্চর্য হয়ে যায় সকলে।
কিন্তু পরে পরে পরিষ্কার হয়ে যায় গোটা বিষয়টি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শহীদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত খসরেখা গ্রামে স্থানীয় খসরেখা গ্রাম উন্নয়ন কমিটির পরিচালনায় প্রত্যেক বছর নীল পুজো ও একটি বড় করে মনসা পুজোর আয়োজন করা হতো। কিন্তু বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতির জন্য সমস্ত কিছু বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই গ্রাম কমিটির তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পুজোর জন্য বরাদ্দ অর্থ গ্রামের মানুষদের সাহায্যের জন্য নগদ ৫০০ টাকা করে তুলে দেওয়া হবে।
শহীদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত এই খসরেখা গ্রামে প্রায় আড়াইশো পরিবারের বসবাস। কেউ কল কারখানার শ্রমিক, কেউ বা আবার দিনমজুর। তবে সকলের রোজগার লক ডাউনের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েছেন এই সকল দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন। গত চৈত্র মাসে গ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে যে নীল উৎসব হওয়ার কথা ছিল তা লকডাউনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ওই খাতে বরাদ্দ অর্থ গ্রাম কমিটির তরফ থেকে গ্রামবাসীদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ত্রাণ হিসেবে বিলি করা হয়। এরপর বৈশাখ মাসেই গ্রামের এক প্রাচীন মনসা পূজো হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু বর্তমানে লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়ায় তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই গ্রাম কমিটির তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গ্রামের দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের হাতে পুজোর বরাদ্দ অর্থ গ্রামের মানুষদের হাতে সাহায্য করা হবে। যার সঙ্গে গ্রামের মানুষদের সুরক্ষিত রাখার জন্য দেওয়া হবে একটি করে সাবানও।
গ্রাম কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খসরেখা গ্রাম কমিটির তরফ থেকে প্রায় আড়াইশো পরিবার এর হাতে নগদ ৫০০ টাকা তুলে দেওয়া হয়। প্রথমে অবশ্য গ্রামের সকলে আশ্চর্য হয় কিন্তু পরে গ্রাম কমিটির এই ধরনের উদ্যোগ জানতে পেরে খুশি সকলে।
খসরেখা গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি নিতাই চন্দ্র দাস বলেন গ্রামের সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ রেখে তারা এই উদ্যোগ নিয়ে এই মহামারীর সময় গ্রামের মানুষ দের দাড়ানোর জন্য এই প্রয়াস। এর কয়েক দিন চাল ডাল আলু পিয়াঁজ তেল সাবান দেওয়া হয়েছিলো পরে আবার গ্রাম উন্নয়ন কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জে এই মহুর্তে গ্রামের মানুষ জনের হাতে টাকা নেই তাই তারা নগদ ৫০০ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খসরেখা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন কুমার জানা জানান, “গ্রামের মানুষদের কথা মাথায় রেখে আমরা এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি। যার জন্য মোট ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ব্যয় করা হচ্ছে।”
এখন বাংলা - Ekhon Bangla | খবরে থাকুন সবসময়
এখন বাংলা, বাংলার একমাত্র নির্ভীক পোর্টাল। আমরা আমাদের পাঠকদের কে সর্বদা সত্য খবর দিতে বধ্য পরিকর।
Post a Comment
0Comments