একটানা লকডাউনের জের, জুনে শুরু হবে উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখা
লকডাউনে গৃহবন্দি থাকলেও শিক্ষকরা উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখতে পারছেন না। করোনা আবহে তিনটি পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গিয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, ১০ জুনের পর সেই পরীক্ষা হবে। এদিকে বাকি পরীক্ষার খাতাও শিক্ষকদের কছে পৌঁছয়নি। ফলে এখনও উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরুই করতে পারেননি শিক্ষকরা। জানা গিয়েছে, ১৫ জুন থেকে ৮ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হবে।
১২ মার্চ শুরু হয় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। ২১ তারিখ পর্যন্ত হওয়ার পর তা করোনা সতর্কতার জেরে স্থগিত হয়ে যায়। ২৩, ২৫ ও ২৭ মার্চের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে ১০ জুনের পর। একাদশের সবাইকে দ্বাদশে উত্তীর্ণ করা হবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এদিকে স্থগিত উচ্চ মাধ্যমিকের তিনটি পরীক্ষা হওয়ার পর ফলপ্রকাশ জুলাই মাসের আগে সম্ভব নয়। তারমানে কলেজে স্নাতকে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে আগস্ট মাস জুড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-র সুপারিশ, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবর্ষ জুলাই মাসের পরিবর্তে সেপ্টেম্বরে শুরু হোক। উচ্চশিক্ষার সেশন পিছিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর এখনও নির্দেশিকা জারি করেনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের প্রথম সেমেস্টার হবে না। শুধুমাত্র বছরের শেষ সেমেস্টারটি হবে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, “আমাদের কাছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে কোনও চিঠি আসেনি। ইউজিসির তরফেও চিঠি দেওয়া হয়নি। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কিছু পরামর্শ সরকারকে দিয়েছে। ছাত্র সমাজের স্বার্থে রাজ্য সরকার তা কার্যকর করবে।” শিক্ষাবর্ষ পিছানো নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও নির্দেশিকা জারি না করলেও ইউজিসির সুপারিশই কার্যকর হবে বলে মনে করছে শিক্ষা মহল।
শিক্ষকরা গৃহবন্দি। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকের যে পরীক্ষাগুলি হয়ে গিয়েছে, তার উত্তরপত্র এখনও তাঁদের হাতে পৌঁছয়নি। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের চারটি আঞ্চলিক অফিসকে রাজ্য সরকার একটি নির্দেশিকা পাঠাচ্ছে। সেখানে বলা হয়েছে, ৪ থেকে ১৫ মে-র মধ্যে রেলস্টেশন, থানা এবং ট্রেজারি থেকে আঞ্চলিক অফিসগুলি উত্তরপত্র সংগ্রহ করবে। প্রতিটি গাড়িতে দুজন করে পুলিশকর্মী থাকবেন। ৪ মে থেকে ১০ জুনের মধ্যে প্রধান পরীক্ষকদের কাছে উচ্চ মাধ্যমিকের উত্তরপত্র পৌঁছবে। পাঁচদিনের মধ্যে তাঁরা পরীক্ষকদের হাতে খাতাগুলি তুলে দেবেন। চলতি বছরে পরীক্ষকদের নিয়ে কোনও বৈঠক হবে না। উত্তরপত্র বিলি করার সময় ৫ জনের বেশি পরীক্ষককে একসঙ্গে ডাকা যাবে না। প্রত্যেককে সর্তকতা মেনে কাজ করতে হবে। এই নির্দেশিকা থেকে পরিষ্কার, ১৫ জুনের আগে উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখা শুরু হবে না। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল এ প্রসঙ্গে বলেন, “এই পরিস্থিতিতে খাতা দেখার সময় বাড়িয়ে একটা ইনস্টলমেন্টে জমা দেওয়া দরকার। করুনা সতর্কতার অঙ্গ হিসাবে চলতি বছরে স্ক্রুটিনি না রাখাই ভাল।”
এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়
Post a Comment
0Comments